FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

আজকের তারাবীহ। পর্ব-৯

আজকের তারাবীহ। পর্ব-৯

*

পবিত্র মাহে রামাদানের প্রতিদিনের খতম তারাবীহ সালাতে তেলাওয়াতকৃত আয়াত সমূহের সংক্ষিপ্ত অনুবাদ ও আলোচনা নিয়ে এই আয়োজন।
#আজকের_তারাবীহ

#রামাদান তারাবীহ_০৯

সূরা হুদ, আয়াত ৬ থেকে ১২৩

সকল মাখলুকের রিযিক আল্লাহ দিয়ে থাকেন। দুনিয়ার জীবনকে পরীক্ষা হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। আখিরাত নিয়ে ঠাট্টাকারীদের উপর আচমকা আযাব চলে এলে তারা বিপদে পড়বে।

আল্লাহ মানুষকে বিপদ দিলে তারা হতাশ হয়ে পড়ে, আবার নিয়ামাত দিলে অহংকার করে। যারা এমনটা না করে ধৈর্য ধরে ও নেক আমল করে, তারাই আল্লাহর কাছে প্রতিদানের যোগ্য।

মুশরিকরা রাসূল (সাঃ)-কে কখনও বলতো মূর্তির সমালোচনা বাদ দিয়ে বাকি কুরআন পড়তে, কখনো বলতো তাঁর সাথে সাথে ফেরেশতা ঘোরাফেরা করে না কেন। কখনো বলতো এটা তাঁর (সাঃ) নিজের রচনা। তাদেরকে সকলে মিলে কুরআনের অনুরূপ দশটি সূরা তৈরি করে আনতে বলা হয় (পরবর্তীতে নাযিলকৃত আয়াত ২:২৩ ও ১০:৩৮ এ সহজ করে একটি সূরা বানাতে বলা হয়)। এখানে উল্লেখ্য, সমসাময়িক সাহিত্যে পারদর্শী আরব মুশরিকরা এরকম গূঢ়ার্থপূর্ণ ও সাহিত্যমানের জিনিস তৈরির চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সাহস করেনি। বর্তমানে অনুবাদ পড়া ইসলামবিদ্বেষীরা অর্থহীন ও সাহিত্যমাধুর্যহীন লাইন তৈরি করে দাবি করে তারা চ্যালেঞ্জে জিতে গেছে।

আখিরাত অবিশ্বাসীরা তাদের সব ভালো কাজের প্রতিদান দুনিয়ায়ই পেয়ে যাবে। আখিরাতে তাদের মিথ্যা উপাস্যরা তাদের বাঁচাতে আসবে না। আর মুমিনগণ থাকবেন জান্নাতে। উভয় দলের উপমা যথাক্রমে অন্ধ-বধির এবং দৃষ্টিমান-শ্রুতিবানের মতো।

তারপর বিভিন্ন নবীর কাহিনী বর্ণনা শুরু হয়। একজন নিরক্ষর আরবের মুখে আসমানী কিতাবের এসকল কাহিনীর নির্ভুল বর্ণনাও তাঁর নবুওয়াতের প্রমাণ।

নূহ (আঃ) তাওহীদের দাওয়াত দিলে কাফির নেতারা তাঁকে অমান্য করে। মক্কার মুশরিকরা যেসব প্রশ্ন তুলতো, সেসব প্রশ্ন তারাও করে। তাদের সকলেরই প্রশ্ন ছিলো নবীকে সমাজের দুর্বল লোকেরাই কেবল অনুসরণ করে কেন আর নবীর সাথে আসমান জমিনের ধনভাণ্ডার থাকে না কেন। নূহ (আঃ) জবাব দেন দুনিয়াবি দৃষ্টিতে দুর্বল এসব লোকের মাঝে আল্লাহ ভালো কিছু দেখলে আমরা আপত্তি করার কে? আর নবী অর্থ এই না যে তিনি কোনো সুপারপাওয়ারধারী ফেরেশতা হবেন, নবী তো কেবল আল্লাহর বার্তাবাহক। তিনি এ কাজের জন্য কোনো পার্থিব পারিশ্রমিকও দাবি করেন না।

আল্লাহর নির্দেশে নূহ (আঃ) নৌকা তৈরি করতে শুরু করলে কাফিররা উপহাস শুরু করে। অবশেষে প্রতিশ্রুত আযাব চলে আসে। নৌকায় আরোহণ করা মুমিন এবং অন্যান্য জোড়া জোড়া জীব ছাড়া সবাই ধ্বংস হয়। নূহ (আঃ) এর এক ছেলেও নৌকায় উঠতে অস্বীকার করে মারা যায়। আল্লাহ ওয়াদা করেছিলেন নূহের পরিবারকে তিনি বাঁচাবেন। নূহ (আঃ) এই দুটি ঘটনার সামঞ্জস্য ধরতে পারছিলেন না। আল্লাহ জানিয়ে দিলেন সেই ছেলে নূহের পরিবারের কেউ নয়, কারণ সে কুফরি করেছে।

আদ জাতির কাছে সেই জাতিরই একজন হুদ (আঃ)-কে নবী করে পাঠানো হয়। হুদ (আঃ) তাওহীদে বিশ্বাস ও অহংকার ত্যাগ করার দাওয়াত দেন। তাহলে আল্লাহ তাদের প্রতিপত্তি আরো বাড়িয়ে দিবেন। এখানেও কাফির নেতাদের সাথে হুদ (আঃ) এর বাদানুবাদ হয়। কাফিররা বলে তাদের কোনো উপাস্যের অভিশাপেই হুদ (আঃ) এমন হয়ে গেছেন (না'উযুবিল্লাহ)। অতঃপর আযাবের নির্ধারিত দিন এলে মুমিনগণ ছাড়া আদ জাতি সমূলে ধ্বংস হয়।

সামূদ জাতির কাছে সেই জাতিরই সালিহ (আঃ) কে নবী বানিয়ে পাঠানো হয়। তাঁর দাওয়াত শুনে কাফিররা বলে, তোমাকে নিয়ে আমাদের বড় আশা ছিলো অথচ তুমি আমাদেরকে বলছো বাপদাদাদের উপাস্যগুলো ত্যাগ করতে! অর্থাৎ সালিহ (আঃ)-কেও তারা নবুওয়াতের আগে অনেক সম্মান করতো, যেমনটা মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে মক্কার লোকেরা করতো। সামূদ জাতির কাছে মুজিযাস্বরূপ পাহাড় থেকে উটনী বের করে দেখানো হয়। তারা আপাতত নিবৃত হলে তাদের বলা হয় উটনীর কোনো ক্ষতি না করতে। কিন্তু উটনীকে পানি পান করানোর জন্য তাদের কিছুটা টান পড়তো বলে কতিপয় দুষ্ট লোক উটনীটি হত্যা করে। তিনদিন পর প্রচণ্ড শব্দের আকারে আযাব আসে। মুমিনগণ ছাড়া সামুদ জাতির সবাই এমনভাবে ধ্বংস হয়, যেন তারা সেখানে কোনোদিন বসবাসই করেনি।

ইবরাহীম (আঃ) এর নিকট মানুষের রূপ ধরে কতিপয় ফেরেশতা আসেন। তাঁরা লূত (আঃ) এর কওম সাদ্দুমের জন্য আযাব নিয়ে নাযিল হয়েছেন বলে জানান। সারা (আঃ) তা শুনে আনন্দে হেসে দেন। তাঁদেরকে পুত্র ইসহাক (আঃ) ও নাতি ইয়াকুবের (আঃ) জন্মের আগাম সুসংবাদ দেওয়া হয়। সারা (আঃ) এই বৃদ্ধ বয়সে সন্তান হওয়ার খবর শুনে বিস্মিত হন। ফেরেশতাগণ জানান এটাই আল্লাহর হুকুম। ইবরাহীম (আঃ) তাঁর নরম দিলের কারণে সাদ্দুম নগরে এখনই আযাব না দেওয়ার ব্যাপারে অনুযোগ করেন। কিন্তু প্রতিশ্রুত সময় চলে আসায় আযাব নিশ্চিত হয়ে গেছে।

লূত (আঃ) এর কাছে ফিরিশতাগণ সুদর্শন পুরুষ মেহমানরূপে এসেছিলেন। সাদ্দুমের লোকেরা মুশরিক হওয়ার পাশাপাশি পৃথিবীর প্রথম সমকামী জাতি ছিলো। লূত (আঃ) তাঁর মেহমানদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কওমের লোকেরা খবর পেয়ে লূত (আঃ)-কে এসে হুমকি দিতে থাকে মেহমানদের তাদের হাতে তুলে দিতে। ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করে ভোরবেলা আযাব আসার কথা বলেন। আর বলেন যে সেসব লোক কখনও তাঁর নিকট পৌঁছতে পারবে না। ভোরবেলা লূত (আঃ) সপরিবারে নগরী ছেড়ে চলে যান। তাঁর পরিবারের মাঝে শুধু তাঁর স্ত্রী আযাবে পাকড়াও হয়, কারণ সে ওইসকল পাপাচারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলো। সাদ্দুমের কওমকে আযাব হিসেবে ভূমিসহ উল্টে ফেলা হয় এবং আসমান থেকে পাথর বর্ষণ করে ধ্বংস করা হয়।

মাদইয়ানের লোকেরা শির্ক করতো। এছাড়া পথেঘাটে চৌকি বসিয়ে অন্যায়ভাবে পথিকদের থেকে টোল নিতো বা লুটতরাহ করতো। শুআইব (আঃ) তাদের এসব ছেড়ে দিতে বলেন। হালালভাবে যা রিযিক অবশিষ্ট থাকবে, তাই যথেষ্ট। কাফিররা বলে, হে শুআইব! তোমার ধর্ম কি আমাদের বাপদাদার ধর্ম পালনে আর ব্যবসাবাণিজ্যে বাধা দিতে বলে? তোমার খান্দান এ প্রতিপত্তিশীল না হলে তোমাকে আমরা হত্যা করতাম (মুহাম্মাদ সাঃ-কেও তাঁর বংশ ও আত্মীয়দের ক্ষমতার ভয়ে মুশরিকরা ক্ষতি করার সাহস পেতো না) । শুআইব (আঃ) আফসোস করেন যে, আল্লাহর ভয়ের চেয়ে আমার বংশের ভয়ই কি বেশি হয়ে গেলো! অবশেষে সামূদ জাতির মতো আযাবে মাদইয়ানের কাফিররা ধ্বংস হয়।

মূসা (আঃ) যখন ফিরআউন ও তার অমাত্যদের দাওয়াত দেন তখন ফিরআউনের মতো তার অমাত্যরাও ভ্রান্তির উপর অটল থাকে। আখিরাতেও জাহান্নামে যাওয়ার সময় ফিরআউন তাদের নেতৃত্বে থাকবে।

এভাবে পূর্বের নবী ও জাতিসমূহের বর্ণনা করা হয়েছে যা মুমিনদের জন্য শিক্ষাস্বরূপ। এসব জনপদের মাঝে কিছু জায়গায় এখনো লোক বসবাস করে, আর কিছু এমনভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত যে আর কখনো লোক বাস করেনি। নবী (সাঃ) ও মুমিনদের সালাত পড়ার ও নেককাজ করার হুকুম করা হয়।

সূরা ইউসুফ, আয়াত ১ থেকে ৫২

সূরা ইউসুফ প্রায় পুরোটাই ইউসুফ (আঃ) এর ঘটনা। বনী ইসরাইল কীভাবে শাম থেকে মিসরে গিয়ে বসবাস শুরু করলো, তা এখান থেকে জানা যায়। ইউসুফ (আঃ) এর পিতা ইয়াকুব (আঃ) এর অপর নাম ইসরাইল, তাঁর পিতা ইসহাক (আঃ), তাঁর পিতা ইবরাহীম (আঃ)। ইয়াকুব (আঃ) এর এক স্ত্রী হতে দশ সন্তান, অপর স্ত্রী হতে দুই সন্তান (ইউসুফ ও বিন ইয়ামীন) ছিলো। এই বারোজন থেকে পরে বনী ইসরাইলের বারোটি গোত্র হয়।

ইউসুফ (আঃ) স্বপ্নে দেখেন এগারটি নক্ষত্র এবং চাঁদ ও সূর্য তাঁকে সিজদা করছে। ইয়াকুব (আঃ) এই স্বপ্নের কথা জানালে তিনি তা গোপন রাখতে বলেন এবং ভবিষ্যতে যে ইউসুফ (আঃ) নবী হবেন তার ইঙ্গিত দেন।

সেই দশজন সৎভাই ইউসুফ ও বিন ইয়ামীনের প্রতি তাদের পিতার ভালোবাসা দেখে হিংসা করতো। অথচ তারা বড় দল (বড় পরিবার মানে নিরাপত্তা ও আয়ের নিশ্চিততর উৎস, তাই তাদের আশা ছিলো তারাই পিতার ভালোবাসার অধিক যোগ্য)। একদিন তারা ইউসুফ (আঃ)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে পরিকল্পনা পাল্টে কুয়োয় ফেলে দিতে মনস্থির করে। তারা ইয়াকুব (আঃ) এর কাছে গিয়ে খেলাধুলার কথা বলে ইউসুফ (আঃ)-কে নিয়ে যেতে চায়। ইয়াকুব (আঃ) বলেন তাদের অসাবধানতায় নেকড়ে ইউসুফকে (আঃ) খেয়ে ফেলার ভয় করেন। ছেলেরা তাঁকে আশ্বস্ত করে জোর করে নিয়ে যায়। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে তারা ইউসুফের জামায় নকল রক্ত মাখিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসে। বলে যে তারা ইউসুফকে মালপত্র হেফাজতের দায়িত্বে রেখে দৌড় প্রতিযোগিতা করার সময় নেকড়ে ইউসুফকে খেয়ে ফেলে। ইয়াকুব (আঃ) তাদের মিথ্যাচার বুঝতে পেরেও সবর করেন।

এদিকে ইউসুফ (আঃ)-কে আল্লাহ দৃঢ় রাখেন, কুয়োর ভেতর তাঁকে জীবিত রাখেন। কোনো এক কাফেলা পানি তুলতে বালতি ফেললে তিনি তাতে করে উঠে আসেন। তাঁকে দাস হিসেবে স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করে দেয়। মিশরের অর্থমন্ত্রী (উপাধি 'আযীয) তাঁকে ক্রয় করে ঘরে রাখেন এবং নিজের স্ত্রীকেও তাঁর ভালো রক্ষণাবেক্ষণ করতে বলেন।

একসময় আযীযের স্ত্রী ইউসুফকে মন্দ কাজে আহ্বান করে। ইউসুফ (আঃ) এর মনেও মানবীয় দুর্বলতা আসার উপক্রম হলেও আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করেন। তিনি দরজার দিকে দৌড় দিলে আযীযের স্ত্রী তাঁকে ধরতে গিয়ে তাঁর জামা পেছন থেকে ছিঁড়ে ফেলে। এমন সময় আযীয চলে আসেন। আযীযের স্ত্রী ইউসুফের বিরুদ্ধে খারাপ কাজের অভিযোগ করে ভিক্টিম প্লে করতে থাকে।

ইউসুফের (আঃ) জামা সামনে থেকে ছে্ড়া থাকলে বোঝা যেত তিনিই মন্দ কাজে আগে অগ্রসর হয়েছেন, নারীটি বাধা দিতে গিয়ে জামা ছিঁড়েছে। কিন্তু পেছনদিকে ছেঁড়া থাকায় আসল দোষী প্রকাশ পেয়ে যায়। আযীয ইউসুফের কাছে ক্ষমা চেয়ে স্ত্রীকে সাবধান করে পুরো বিষয় গোপন রাখতে চান।
এদিকে ঘটনা চাউর হয়ে শহরের সম্ভ্রান্ত নারীদের মাঝে কানাকানি শুরু হয় যে আযীযের স্ত্রী তার দাসের প্রেমে পড়েছে। সে তা জানতে পেরে তাদের দাওয়াত করে ইউসুফকে কৌশলে সামনে আনায়। তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সেসব নারী ফল কাটতে গিয়ে নিজেদের হাত কেটে ফেলে। আযীযের স্ত্রী বলে এজন্যই সে তাঁকে ফুসলানোর চেষ্টা করেছিলো। প্রত্যাখ্যান করার অপরাধে তাঁকে কারাগারে যেতে হবে। ইউসুফ (আঃ) দুআ করেন এই গুনাহের পরিবেশের চেয়ে কারাগারই তাঁর অধিক প্রিয়।

অবশেষে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে তাঁকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। তাঁর সাথে আরো দুজন বন্দী ছিলো। তাঁরা ইউসুফের সুন্দর স্বভাব দেখে তাঁর কাছে নিজেদের দুটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চায়। তিনি এ সুযোগে তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দেন। তারপর স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানান যে তাদের একজন মুক্তি পেয়ে রাজার মদপরিবেশনকারীর চাকরি পাবে, আরেকজন মৃত্যুদণ্ড পাবে। যে মুক্তি পাবে সে যেন রাজার কাছে ইউসুফের জন্য সুপারিশ করে, এ কথা বলে দেন। কিন্তু সে মুক্তি পাওয়ার পর সে কথা ভুলে যায়। ফলে ইউসুফ (আঃ) আরো কয়েক বছর কারাগারে থাকেন।

রাজা এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে পরিষদবর্গের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চান। তারা বলে এটা অর্থহীন। অার তাদের তো স্বপ্নের ব্যাখ্যার জ্ঞানও নেই। তখন মদপরিবেশনকারীর ইউসুফের (আঃ) কথা মনে পড়ে। তাকে পাঠানো হলে সে ইউসুফ (আঃ) এর কাছে হুবহু স্বপ্নের কথা তুলে ধরে। ইউসুফ (আঃ) আসন্ন সাত বছরের প্রাচুর্য ও পরের সাত বছরের দুর্ভিক্ষ এবং তা মোকাবেলার উপায় বলে দেন।

রাজা ইউসুফের প্রজ্ঞার খবর পেয়ে তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ইউসুফ (আঃ) প্রথমে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাকারীদের সাক্ষ্য নিতে বলেন। আযীযের স্ত্রীসহ ওই মহিলাগুলো তাঁর নির্দোষিতা স্বীকার করে। এভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করিয়ে তবেই তিনি জেল থেকে বের হন। বাকি কাহিনী পরের তারাবীহতে।


কার্টেসি : হুজুর হয়ে ফেসবুক পেজ

*




0 Comments 113 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024