FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

আধ্যাত্মিক কান্ডারী

আধ্যাত্মিক কান্ডারী

*

১৪০২ সালে আঙ্কারার যুদ্ধে যখন সুলতান বায়েজীদ ইয়িলদিরিম আমীর তাইমুরের হাতে পরাজিত ও বন্দী হন তখন তাইমুর উসমানী সালতানাতের প্রখ্যাত আলেম ও সুফীদেরকে সসম্মানে সমরকন্দে চলে আসার দাওয়াত দেন। এই আলেমদের মধ্যে ছিলেন, শায়খ আমীর সুলতান শামসুদ্দীন মাহমুদ হুসাইনী খোরাসানী, মোল্লা শামসুদ্দীন ফেনেরিজাদা এফেন্দী, মেহমেদ শাহ ফেনেরিজাদা এফেন্দী, হাফিজুদ্দীন মেহমেদ কুর্দী, ইজনিকিলি শায়খ কুতুবুদ্দীন এবং শমুনচি বাবার সুযোগ্য খলীফা নাকশবান্দী শায়খ হাজী বাইরাম।

সমরকন্দ ছিল চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর। আমির তাইমুরের এই বিজয়ের পর এই সুফীদের টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া উসমানী সালতানাত রেখে সমরকন্দে চলে যাওয়াটাই অপেক্ষাকৃত বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল।

কিন্তু শায়খ আমীর সুলতান, মোল্লা শামসুদ্দীন ফেনেরিজাদা এবং হাজী বায়রাম স্বপ্নের মাধ্যমে জানতে পারেন, উসমানীরা সামনের চল্লিশ বছরের মধ্যে আবার পুর্নশক্তিতে ফিরে আসবে এবং এক পবিত্র ভবিষ্যদ্বানী পুর্ন করবে।

নিজেদের মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার পর তারা আমীর তাইমুরের দাওয়াত সসম্মানে ফিরিয়ে দেন এবং আনাতোলিয়ায় থেকে যান।

ইতিহাস সাক্ষী, মাত্র ৪০ বছরের ভেতর ছাইয়ের স্তুপ থেকে আবার উসমানী সালতানাত দাঁড়িয়ে যায় এবং ১৪৪৪ ও ১৪৪৮ সালে ভার্না ও কসোভোর ক্রুসেডে হাঙ্গেরী-পোল্যান্ডের যৌথ শক্তিকে পরাজিত করে। এই ঘটনার ৫১ বছর পর, ১৪৫৩ সালে সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহর হাতে পুর্ন হয় ঐতিহাসিক ফাতিহে কস্তুনতুনিয়্যে বা কন্সটান্টিনোপল বিজয়।

এভাবেই, আধ্যাত্মিক নেতারা জাতিকে বিপদের সময়ে নেতৃত্ব দেন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করেন।


Courtesy: Muhammad Sajal vai

*




0 Comments 227 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024