FriendsDiary.NeT | Friends| Inbox | Chat
Home»Archive»

বিবর্তনবাদ, বিগ ব্যাঙ থিউরি কতটা সঠিক? স্রষ্টা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণাগুলো

বিবর্তনবাদ, বিগ ব্যাঙ থিউরি কতটা সঠিক? স্রষ্টা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণাগুলো

*

সৃষ্টিকর্তার অনস্তিত্বের প্রমান করতে মহাবিশ্ব সৃষ্টি অর্থাৎ বিগ ব্যাঙ থিউরি আর বিবর্তনবাদ সামনে আসে।কিন্তুু আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কখনওই এই দুইটি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন মতামত দিয়ে যান নি।স্টিফেন হকিন্সকে অনেকেই স্রষ্টা বিশ্বাসী বলে চালিয়ে দিতে চান কিন্তুু বাস্তবীকভাবে তিনি কখনওই স্রষ্টায় বিশ্বাসী ছিলেন না আবার তিনি এই কথাও প্রমান করে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না পৃথিবী আর সমস্ত সৃষ্টিজগৎতের পিছনে একজন স্রষ্টার হাত নেই। তার এসব বিভ্রান্তির কারণেই মূলত তাকে অনেকে স্রষ্টায় বিশ্বাসী বলে থাকেন।পদার্থ বিদ্যায় যিনি জীবনের পুরোটা সময় কাটিয়ে যান মৃত্যুের পর তার নিজস্ব ওয়েব সাইট থেকে একটি লেখা প্রকাশিত হয় যাতে তিনি বলেন- মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাঙ থিউরিরও ১৫ কোটি বিলিয়ন বছর পূর্বে। অর্থাৎ মহাবিশ্ব বিগ ব্যাঙের দ্বারা সৃষ্টি হয়নি যদি না হয় তাহলে কিভাবে হলো? আবার তিনি তার লেখা বই" A Brief History of Time গ্রন্থ লিখে একসময় বেশ নজরে আসেন। নাস্তিক হওয়া সত্ত্বেও এই বইতে তিনি এমন কিছু উক্তি করেন যা আস্তিকতার পক্ষে যথেষ্ট ইঙ্গিত বহনকারী। যেমন মহাবিশ্বের অভূতপুর্ব ডিজাইন ও সমন্বয় দেখে তিনি বলেছিলেন: “মহাবিশ্বের সূচনা ঠিক এমন (মাপা) কেন হলো সেটার ব্যাখ্যা দিতে চাইলে – এটি এক স্রষ্টার কাজ যিনি আমাদের মতো সত্ত্বাকে সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, এমন ব্যাখ্যা দেওয়া ছাড়া অন্য কোনোভাবে এই সমন্বয়ের সুরাহা করা খুবই কঠিন।
বাস্তবিকভাবে স্টিফেন হকিন্স নিজেও কখনও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না স্রষ্টা বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই মহাবিশ্বের সবকিছু বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ীই চলে। স্টিফেন হকিন্সের বিভিন্ন সময় বলা কথা প্রমানগুলোই আপনাকে প্রমান করে দিবে বিজ্ঞানীরা যতই স্রষ্টার উপর অবিশ্বাসী হোক তারা কখনও সেটিকে মন থেকে বিশ্বাস করতে পারেন নি।কেননা তারা সবকিছুই প্রমানের উপর ভিওি করে বিশ্বাস করে কিন্তুু যখনি স্রষ্টার অনস্তিত্ব প্রমাণ করতে চেয়েছে তখনি স্রষ্টার অস্তিত্ব সামনে এসেছে। ২০১০ সালে এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হকিং বলেছিলেন, তিনি জানতে চান কেন এই বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে? এই বিশ্ব সৃষ্টির কারণ খুঁজতে গিয়েই পৃথিবীতে এসেছে নানান বিশ্বাস আর সেই বিশ্বাসগুলো মিলে মিশে সৃষ্টি হয়েছে অনেক ধর্মের। যেদিন বিজ্ঞান সত্যিই উত্তর দিতে পারবে যে, কেন এই বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে, সেদিন হয়তো ধর্মের উপযোগিতা থাকবে না। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত ধর্ম আর বিজ্ঞান হয়তো সমান্তরালে চলবে।
তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারণ বিজ্ঞান এখনো দিতে পারে নি। পদার্থ বিজ্ঞানে অবিস্মরণীয় নাম স্টিফেন হকিন্স নিজেও সারা জীবন মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারণ এতে স্রষ্টার অস্তিত্বের দরকার নেই এসব প্রমাণ করে যেতে পারেন নি।যাই বলা হয়েছে শুধু মাএ নিজেদের ধারণা বিশ্বাসনুযায়ী বলে গিয়েছেন কিন্তুু প্রমাণ করে যেতে পারেন নি। আমার এই পোস্টের উদ্ধেশ্য স্রষ্টা মহাবিশ্ব নিয়ে বিতর্ক করা নয় স্রষ্টা মহাবিশ্ব সম্পর্কে ইতিহাস বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের বক্তব্যগুলো তুলে ধরা।সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট
আইনস্টাইনের মতে, ‘আমাকে যা অভিভূত করে তা হচ্ছে জীবনের স্থাপত্য। ব্যবস্থাটি ভীষণরকম জটিল। এটা দেখে মনে হয় এটা পরিকল্পিত। এর পেছনে বিশাল বুদ্ধিমত্তা রয়েছে।’
‘আমি মহান স্রষ্টাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তাঁর অসীম দয়ার জন্য, যিনি আমাকে সুযোগ দিয়েছেন শত শত বছর ধরে লুকায়িত অপার সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণের জন্য।’

বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও বলেন-
আমরা এখানে এসেছি একজন বুদ্ধিমান সৃষ্টিকর্তার ফসল হিসেবে যিনি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আমাদের এবং গোটা প্রাণিজগতের সৃষ্টি মহান স্রষ্টার সুচিন্তিত ফসল।’

ফিলিপ জনসন, মার্কিন বিজ্ঞানী বলেন-

‘তিনি (ঈশ্বর) অনন্ত ও অসীম। সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞ। তাঁর স্থায়ীত্ব অনন্তকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত বিস্তৃত। তাঁর উপস্থিতি অসীম থেকে অসীমে। তিনি সবকিছুই জানেন, সবকিছুই করেন, যা করা যায় কিংবা যা করা সম্ভব। আমরা তাঁকে শুধু অনুভব করি তাঁর বিজ্ঞ ও অনন্য উদ্ভাবনী সৃষ্টির মাধ্যমে। আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি তাঁর অনুগত দাস হিসেবে।’

স্যার আইজ্যাক নিউটন বলেন-

‘বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা তাঁর অস্তিত্বের কথা জানি এবং তাঁর মহিমার মাধমে আমরা তাঁর স্বরূপ বুঝতে পারবো।’

প্যাসকেল, আধুনিক গণিতের জনক বলেন-

‘এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা ঈশ্বর এবং এই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের একটি আবশ্যিক গুণ।’

ম্যাক্স প্যাংক , বিখ্যাত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী বলেন-
আমার ইচ্ছা ছিল একজন ধর্মতত্তবিদ হবো, কিন্তু আমি এখন আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে দেখছি জ্যোতির্বিজ্ঞানের
মাঝেও আছে ঈশ্বরের অস্তিত্বের মহিমা, কারণ মহাকাশ ঈশ্বরের মহিমা ঘোষণা করে।’

কেপলার , আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক তিনি বলেন-
‘প্রতিটি ঘড়ি যেমন প্রমাণ করে যে এর পেছনে একজন নির্মাতা আছে তেমনি প্রকৃতির পরিকল্পনা প্রমাণ করে যে এর পেছনে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন।

প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞানীরা সবসময় মহাবিশ্বের স্বয়ংক্রিয় সৃষ্টির কথা স্রষ্টার অনস্তিত্বের কথা বললেও নিজেরা কখনও স্রষ্টার অনস্তিত্বকে মেনে নিতে পারেন নি।কেননা মহাবিশ্বের গঠন এর সবকিছুই বারবার প্রমান দেয় সবকিছুর পিছনে একজন স্রষ্টা আছেন অবশ্যই তিনি মহান আল্লাহ। মহান আল্লাহ তায়ালা আল- কোরআনে বলেই দিয়েছেন-
আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে।(আল আনআম - ১১৬)
এবার আসা যাক বিবর্তনবাদে। সভ্যতার ক্রমবিকাশে শিম্পান্জি(বানর) জাতীয় প্রাণি থেকে ক্রমান্বয়ে আজকের মানুষ।নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী বানর থেকে বৈশ্যষ্ট পরিবর্ততি হয়ে আজকের মানুষ এই পর্যায়ে এসেছে। ১৮৫৯ সালে সর্বপ্রথম চালর্স ডারউইন বিবর্তনের ধারণাকে সামনে এনে এসব ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।স্রষ্টার অনস্তিত্ব প্রমাণের জন্যে অনেকেই এই ভ্রান্ত বিবর্তনবাদকেও ব্যবহার করেন। কিন্তুু ডারউইনের এই বিবর্তনবাদটা শুধু মাএ তার চিন্তা-ধারা বা থিউরি।অর্থাৎ তার মনে হয়েছে বানর জাতীয় প্রাণি থেকে বিবর্তিত হয়ে আজকের মানুষ বৈশিষ্ট্য আমরা পৌছেছি।কিন্তুু আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান এটা প্রমাণিত করতে পারেনি।বিজ্ঞানের তও্ব বা থিউরি অনেক কাংশেই সত্যিই হয় সবসময়।যেমন আপেক্ষিক তও্ব, ভর তও্ব, অভিকর্ষ ত্বরণ।প্রথমে এগুলোও জাস্ট থিউরি বা তও্ব হিসাবে ভাবা হলেও পরবর্তীতে বিজ্ঞান এগুলোকে প্রমাণিত করতে সক্ষম হয়েছে।কিন্তুু এসব তও্বের সাথে ডারউইনের বিবর্তন তও্বকে কখনওই আপনি মিলাতে পারবেন না। এখন কেউ যদি বলে মানুষ অক্সিজেন ছাড়াও বেচে থাকতে পারে।বিজ্ঞানে এটাও একটা থিউরিই।কিন্তুু এমন আজগুবি থিউরি কেউ বানাবে না।ঠিক এমনি আজগুবি ডারউনের বিবর্তনবাদ। ডারউনের বিবর্তনবাদের কথামতে আজকের মানুষ একদিনে মানুষ হয়ে যায়নি।বানর জাতীয় প্রাণি থেকে আস্তে আস্তে বিবর্তীত হয়ে আজকের মানুষ এই বৈশিষ্ট্য ধারণ করেছে।তাহলে ডারউইনের কথা মতো এমন কোন ফসিল অবশ্যই থাকা উচিৎ যেটা কিনা অর্ধেক মানুষ অর্ধেক বানর।কেননা ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়েই আজকের মানুষ হয়েছে। কিন্তুু কোটি কোটি বছর আগের ফসিল আবিষ্কার করলেও বিজ্ঞানীরা কখনওই এমন কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি। বিবর্তনবাদ নিয়েও বিজ্ঞান মহলেও বেশ বিতর্কিত আছে ডারউনের বিবর্তনবাদ অাদৌ সত্যে কিনা।যারা ঘোর স্রষ্টা বিরুধী তাদের কাছে ডারউনের বিবর্তনবাদ নিয়ে একটি উওরই আপনি পাবেন তা হলো- দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলবে যদিও বিজ্ঞান এটা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি কিন্তুু বিজ্ঞান একদিন এটা প্রমাণ করবে।ঐ আশা পর্যন্তই।ডারউইনের এই আজগুবি গল্প কোনদিনও কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।কিন্তুু বিবর্তনবাদটাকে আমাদের ছোট থেকে বইয়ে পাঠ্য করা হয়, পড়ানো হয় অথচ এটা এখনো বিজ্ঞানের প্রমাণিত সূএ নয় জাস্ট চিন্তা-ভাবনা।তবুও এটাকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয় কারণ এতে বিশ্বাস করলেই ধর্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে ভ্রান্থ পথের অনুসারি হয়ে যাবে।এটা বিশ্বাস করলেই শিরক হয়ে যাবে।যেখানে সর্বদা বর্তমানে মুসলিমদের ঈমান ধ্বংসের অভিনব খেলা চলছে সেখানে ডারউনের বিবর্তবাদটা এটার জন্যে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা অবশ্যই। তাই এটা আজ পর্যন্ত সামান্য একটা থিউরিকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়।যেখান বিজ্ঞান থেকে এই থিউরিটাকে বাদই দেওয়া উচিৎ ছিল।আসুন দেখি বিজ্ঞান মহলে ডারউনের এই বিবর্তনবাদটাকে কেমন করে গ্রহন করেছেন বিজ্ঞানীরা।হ্যা কিছুসংখ্যক বিজ্ঞানীই মাএ ডারউইনের থিউরিটাকে নিয়ে আশা করে থাকেন।বেশির ভাগ বিজ্ঞানীই এটাকে গ্রহণ করেন নি---

1. বিবর্তনের মাধ্যমে জীবন কাঠামো গঠন হওয়া ততটাই অসম্ভব যতটা অসম্ভব সামুদ্রিক ঝড়ের মাধ্যমে এলোমেলো ধ্বাক্কায় boeing747 টাইপের কোন বিমান গঠিত হওয়া।[Fred Hoyle]

2. বিবর্তনের যে সব টুকরো প্রামাণ পাওয়া গিয়েছে তার সবই ভ্রান্থ ও অকেজো।[ Ernst Haeckel]

3. তারা এমন কিছু প্রমাণের ভিও্বিতে বিবর্তনবাদ চাপিয়ে দিচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপর যেসব প্রমাণ ভিও্বিহীন বলে প্রমানিত হয়েছে।[ jonathan wells]

বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য বিজ্ঞানীদের প্রমাণ মিলে যারা কিনা জীবনের বেশির ভাগ সময়ই জীববিদ্যা পদার্থবিদ্যা গভেষণায় কাটিয়ে দিয়েছেন। বিবর্তনবাদ বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে স্রষ্টা বিরুধী, ধর্ম বিরুধী এবং বিজ্ঞান বিরুধীও। বিজ্ঞান ইতিপূর্বে যেমন এটাকে প্রমাণিত করতে পারেনি আর কোনদিন পারবেও না।তাই পাঠ্যবইয়ে যদিও ডারউনের বিবর্তনবাদটিকে সত্যের মতো করে উল্লেখ করা হয়েছে তবুও এটা কখনওই বিশ্বাস করা যাবে না।নিশ্চই আল্লাহ হও বলার সাথে সাথেই পৃথিবী সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে এবং এর অভ্যন্তরে থাকা সমস্ত কিছু সৃষ্টি হয়েছে।যেমনটা তিনি কোরআনে বলে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-

তুমি একনিষ্ঠ ভাবে নিজেকে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল ধর্ম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না[সূরা রুম - ৩০]
মহান আল্লাহ যেন সর্বদা আমাদের এসব কুফুরি ভ্রান্থ মতবাদ,চিন্তা-ধারা সমস্ত কিছু থেকে রক্ষা করেন।আমিন।

*




3 Comments 501 Views
Comment

© FriendsDiary.NeT 2009- 2024