এখন আমি যাকে নিয়ে লিখতে যাচ্ছি সে হলো বি এস লেজেন্ড রেটরিক। সবাই তাকে গাভি বলে ডাকলেও একমাত্র আমি ই মনে হয় তাকে শুরু থেকে রেটরিক দা বলে ডাকি।সবাই তাকে গাভি বলে তার কিছু কারণ ও আছে। বৌদিদের সাথে রেটরিক দার খুব ভালো সম্পর্ক। সবাই মনে মনে বলে ইস!!আমার যদি রেটরিক এর মতো কপাল হতো। কিন্তু কপাল রেটরিক দার মতো না বলেই হিংসায় গাভি বলে ডাকে।
এবার আসি তার এফডিতে আসার কাহিনি নিয়ে।সে সাউটে যে কাহিনি বলে ওটা পুরোটাই মিথ্যা। আসল কাহিনি আমি বলি। ছোটবেলা থেকেই রেটরিক দা সব সময় বৌদিদের কোলেতে বড় হয়েছে। আস্তে আস্তে দাদা বড় হতে থাকে। কিন্তু বৌদিদের ছায়া থেকে কিছুতেই সরতে চায় না। সকাল থেকে বিকাল হয়ে যাবে তাও রেটরিক দা বৌদিদের সাথেই গল্প করতে থাকবে একটানা।রেটরিক দার দাদারা দিখলো এমন চলতে থাকলে সমাজ কি বলবে? তাই তারা সুপারম্যান ভাইকে বলে রেটরিক দাকে বৌদিদের থেকে আলাদা করতে বলে। বাধ্য হয়ে সুপারম্যান ভাই তাকে এফডিতে নিয়ে আসে।
প্রথম প্রথম রেটরিক দা এফডিতে তেমন কাউকে পায় নি।বৌদি বানানোর অনেক ট্রাই করে। করতে করতে এক সময় বৌদি না পেয়ে পেয়ে যায় এক নোয়াখালীর খালা। সেই খালার নাম রোজেলিন।তারপর এফডিকে আপন করে নেয় দাদা।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খালা ভাগ্নের লোক দেখানো ঢং চলতে থাকে। ফলে ভাইরাল হয়ে যায় খালা ভাগ্নে দুজনেই। খালা নোয়াখালীর বলে একটু বেশি ভাইরাল হয়।
সব ঠিক ঠাকই চলছিলো। একটা সময় এফডির জাতীয় লুইস হাম্বা চাচা হিংসে করতে থাকে খালা ভাগ্নেকে। কারণ হাম্বা চাচা রোজেলিন আপুর চামচা হতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। আর রেটরিক দা হয়ে গেছে তার আদরের ভাগ্নে। অবশ্য চামচা হতে না পেরে হাম্বা চাচার জেদ বেড়ে যায়। তিনি খালু হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। তার পথের কাটা হয়ে দাঁড়ায় নাইট ভাই,,এভিল ভাই সহ আরো অনেকে। কিন্তু তিনি ই একমাত্র যে রেটরিক দার মুখ থেকে খালু ডাক শুনেছে।
এফডির প্রতি ভালোবাসা রেটরিক দাকে তার বৌদিদের থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছিলো৷ কিন্তু বৌদিরা আবার রেটরিক দার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে চাচ্ছিলো। তার খালা হয়েছে এটা মেনে নিতে পারছিলো না। ফলে ফাটল ধরতে থাকে খালা-ভাগ্নের সম্পর্ক। কিন্তু রেটরিক দাও কম চালাক না। আবার বৌদিদের সাথে গল্পে মেতে ওঠে। বৌদিদের জন্য রান্না করা শুরু করে। তাই তো বৌদিরা আবার রেটরিক দাকে আগের মতো ভালোবাসা শুরু করে।
বৌদিদের ছোট বোনদের সাথে সম্পর্ক গড়ার জন্য রেটরিক দার এফডিতে দিনে দিনে অনেক ভক্ত হয়ে যায়। তার ভিতর মটকা মামা,,লুইচ্চা রিয়াদ ভাই,,লেবু মিয়া অন্যতম।
রেটরিক দার নিব্বি বেশিদিন টেকে না এর কারণ ও বৌদিরা। বৌদিরা চায় না দাদার নিব্বি হোক। নিব্বি হলে তো আর দাদা বৌদিদের সাথে বেশি গল্প করতে পারবে না।
বৌদিরা যেন কখনো দাদার থেকে দূরে না যায় সেই জন্য দাদার বৌদিরা দাদাকে নাড়ুর ব্যবসার বুদ্ধি দেয়। এই নাড়ু দাদার বৌদিরা দাদাকে তৈরি করে দেয়। রেগুলার নাড়ুর জন্য দাদাকে বৌদিদের বাসায় যেতে হয়। এই নাড়ুর অনেক গুণ। বৌদিদের হাতের এই নাড়ু খেয়ে খোকা দাদু আজ লাফাতে থাকে সময়ে অসময়ে। লুইচ্চা রিয়াদ ভাই বিবাহিত মহিলাদের পছন্দ করা শুরু করে।মিজান ভাই এসসি থেকে টিএমে যায়। ছোটবেলায় শুনতাম পানি পড়ার গুণগান। সেগুলা চোখে না দেখলেও নাড়ু পড়ার গুণগান নিজ চোখে দেখলাম। আসলেই এই বৌদিদের হাতের নাড়ুয় যাদু আছে। তাইতো রেটরিক দার অনলাইন টাইম আজ ৫০০ দিন+।
যাই হোক এতোক্ষণ সব মজা করে বলছিলাম। তবে রেটরিক দা বৌদিদের কোলে মানুষ এ কথা মনে হয় সত্য। তার টিম বিএস এর প্রথম অক্ষর ব। আর বৌদি শব্দটার প্রথম অক্ষর ও ব।
Posted By: Uposonghar (Premium User!)
Post ID: 6715
Posted on: 3 years 9 months ago
Authorized by: Rhetoric
30 Comments1010 Views
Mrinmoy
Etodine fd te valo shotto kichu porlam lulami chara.. Tau kom lekha hoise.. Gavi sei mapeer kheloar +cyu2+
2 years 6 months ago
amanz
(Tagged: fariyaa) আপু রেটো দাদার জীবন কাহিনী পড়িয়েন☺
2 years 6 months ago
kowalski
-haste-
2 years 10 months ago
Rhetoric
এগুলা বানানো কথা হেসো না (Tagged: Ava555--) +cyu2+