থিওরী অফ রিলেটিভিটির ব্যাখ্যা অনেক জাগায় অনেক ভাবে পাবেন, আমি আজ সবচেয়ে সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় অল্প কথায় লিখব।
থিওরীটা ছিল- কম গতিশীল কোন বস্তুতে সময় অধিক পরিমাণ দ্রুত চলে।আর, যে বস্তু অধিক গতিতে চলে, তার সময়ও তুলনামূলক কম গতিসম্পন্ন বস্তুর চেয়ে কম দ্রুত চলে।
এটাকে Time Dilation বা সময়ের আপেক্ষিকতাও বলা হয়।
তবে মুল আলোচনার আগে কিছু জিনিস জেনে রাখা দরকার। যেমন আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কোটি মিটার বা ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মাইল। পৃথিবীতে আলোর বেগের কাছা-কাছি বা এই গতির অর্ধেক গতিরও কোন স্পেসশীপ নাই এবং প্রায় অসম্ভব।
এখন ধরা যাক, তামিম ও এহসান জমজ দুই ভাই। বর্তমানে তাদের দুজনেরই বয়স ২০ বছর।
এখন এমন একটা স্পেসশীপ বা মহাকাশযান বানানো হল যেটা আলোর বেগের গতিতে চলবে। যদিও এটা এখনো পর্যন্ত অসম্ভ এবং ভবিষ্যতে সম্ভব হবে কিনা জানিনা। যাহোক, তারা আলোর গতির সমান একটা স্পেসশীপ বানালো যেটা সেকেন্ডে ৩০ কোটি মিটার বা ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মাইল বেগে চলবে।
তামিম যদি ঐ স্পেসশীপে চড়ে ৩ বছরে মহাশুন্যে ৫,০০০ আলোকবর্ষ পাড়ি দেয় আর এহসান যদি ঐ তিন বছর পৃথিবীতে থাকে তাহলে তাদের সময়ের পার্থক্য হবে ৫০ বছর। অর্থাৎ তামিম যখন পৃথিবীতে আসবে তখন তার বয়স হবে.২০+৩ = ২৩ বছর, কিন্ত তখন তার জমজ ভাইয়ের বয়স হবে ২০+৫০ = ৭০ বছর। সূত্রটা আবার পড়েন- কম গতিশীল কোন বস্তুতে সময় অধিক পরিমাণ দ্রুত চলে।আর, যে বস্তু অধিক গতিতে চলে, তার সময়ও তুলনামূলক কম গতিসম্পন্ন বস্তুর চেয়ে কম দ্রুত চলে।
এটা শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটাই সত্যি।
পৃথিবীর মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাইম ট্রাভেল বা মহাশুন্যের ঘুরে বেড়ানোর রেকর্ডটা সার্গেই ক্রিকলায়েভের (Sergei Krikalev)। উনি ৮০৩ দিনের কিছু বেশি সময় মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করেছেন – এই সময়ে বেগের কারণে আমাদের পৃথিবীর মানুষদের থেকে তাঁর ঘড়ি ০.০২ সেকেন্ড কম চলেছে। অর্থাৎ এতোদিন বাইরে থাকার কারণে তাঁর তারুণ্য তিনি ধরে রেখেছেন – আমাদের চেয়ে পুরো ০.০২ সেকেন্ড বেশি তরুণ তিনি।
সংক্ষেপে এটাই থিওরী অফ রিলেটিভিটি বা টাইম ডাইলেশন। :)
Posted By: blazing_knight
Post ID: 1999
Posted on: 8 years 5 days ago
Authorized by: devil_hunter